১০ অগাস্ট ২০২৪, ঢাকা, বেলাল হোসেইন
ইসলামের নবী ও মুসলিম বিশ্বের নেতা নবী করীম হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) নিয়ে ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপ ও অশালীন মন্তব্য করবার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় হেফাজতের কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেছে। এই মিছিলে নাস্তিক মুরতাদদের বিভিন্ন নেতাদের নিয়ে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা কঠিন পদক্ষেপ নেবার সংকল্প ব্যাক্ত করেন। এই সময় রাস্তায় নেমে আসেন শত শত ধর্মপ্রাণ তরুনেরা। ৫-ই অগাস্ট পরবর্তী স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের সময় এই নাস্তিকদের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করতে পারতোনা কিন্তু দিন বদলের পর এই নাস্তিকদের প্রকাশ্যে কতল করবার কথা বলছে বাংলাদেশের তৌহিদী জনতা।
উপস্থিত ধর্মপ্রাণ তৌহদী জনতা ব্যানারে এইসপব নাস্তিকদের ছবি প্রদর্শন করে এবং তাদের ফাঁসী চান বলে স্লোগান তোলেন। এই নাস্তিক্যবাদী ব্লগার যাদের বিরুদ্ধে উপস্থিত জনতা মিছিল করেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন এম ডি হাবিবুর রহমান সাব্বির, মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন, লিপ্টন কুমার দেব দাস, এম ডি আশ্রাফ হোসাইন, রেদোয়ানুল ইসলাম, এম ডি রাসেল মিয়া প্রমুখ।
এ বিষয়ে হেফাজতের নেতা মাওলানা আজহার কুতুবপুরীর সাথে কথা হলে তিনি আমাদের বলেন ‘এইসব নাস্তিক কুকুরদের কথা একজন মুসলিম হিসেবে মেনে নিতে পারিনি এবং আমি মনে করি এদেরকে কতল (হত্যা) করা আমার এবং আমাদের সকল মুসলিমদের ওপর ওয়াজিব হয়ে গেছে’
এদিকে মিছিল এবং সমাবেশে থাকা কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা সাংবাদিকেদের জানান যে, ‘‘বর্তমানে নাস্তিক এবং কিছু নব্য ব্লগারদে উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে এগুলো মেনে নেওয়া কোনও মুসলমানদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে একটা কথা স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের কলিজার টুকরা হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে নিয়ে কেউ কিছু বললে তাকে এই পৃথিবী থেকে বিদায় করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব”
তাদের মধ্যে আর একজন ইসলামী ব্যক্তিত্ব মুফতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘‘নাস্তিকদের গালি দিলে কারও গায়ে লাগলে আমার করার কিছু নাই। আল্লাহর দেশে থাকতে হলে আল্লাহকে না দেখে আল্লাহর অস্তিত্ব মানতে হবে, না হলে তুমি আল্লাহর দেশে থাকতে পারবে না।’’
এদিকে সমাবেশ চলাকালে মুফতি আহমদ উল্লাহ জিহাদী উপস্থিত থাকা দ্বীনদার ভাইদের উদ্দেশে বলেন যে, ‘‘যদি কোন মুসলিম মুরতাদ হয়ে যায় এবং মুরতাদের সকল শর্ত তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয় (সুস্থ- মস্তিস্ক, বালেগ, স্বাধীন ইচ্ছাশক্তির অধিকারী হওয়া) তাহলে তার মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করা হবে এবং ইমাম তথা মুসলমানদের শাসক অথবা তাঁর প্রতিনিধি যেমন বিচারক তাকে হত্যা করবে। তাকে গোসল করানো হবে না, তার জানাযা-নামায পড়ানো হবে না এবং তাকে মুসলমানদের গোরস্থানে দাফন করা হবে না’
হেফাজেত ইসলামে এক কর্মীর কাছে বিক্ষোভ মিছিলের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেন যে, ‘‘সমস্ত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিক-মুরতাদ যারা আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (সা.) আল্লাহ এবং আমাদের ধর্ম নিয়ে ব্যঙ্গ করবে, গালি-গালাজ করবে, কটূক্তি করবে তারা সবাই আমাদের টার্গেট। ইনশাআল্লাহ আমরা তাদের হত্যা করবো।’’