বাবুল আহমেদ, ৫ অগাস্ট ২০২৪
পিলখানা হত্যাকাণ্ড থেকে শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড, বাক স্বাধীনতা হরণ, ভোটাধিকার হরণ,দূর্নীতি, লুটপাট, গুম-খুনসহ এমন কোন হীন হয়রানি নেই যা ফ্যাসিস্ট হাসিনা করে নাই। কিছু পার্টিকুলার মাফিয়া ব্যবসায়ীর হাতে দেশের রাজনীতিকে জিম্মি রেখেই কেবল সে ক্ষান্ত ছিলো না, বরং তার সো কলড বন্ধু রাষ্ট্রের কাছে এ দেশের অধিকার, আত্মমর্যাদা বর্গা দিয়ে দাসত্ব বরণ করেছিলো।তাছাড়া,দেশের প্রত্যেকটা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে জনগণের সেবক না বানিয়ে শোষনের হাতিয়ার ও মনস্টার বানিয়েছে- হাসিনা।
জুলাই-আগস্টে ইন্টারনেট বন্ধ করে পুরো দেশ অবরুদ্ধ করে গণহত্যা চালিয়েছে- হাসিনা। অর্থাৎ একটা দেশকে যতভাবে মেরে ফেলা যায় সব করেছে এই সাইকোপ্যাথ হাসিনা। অথচ এটা নিয়ে আওয়ামিলীগ এর নেতা কর্মীদের বিন্দুমাত্র অনুশোচনাবোধ নেই। এখনো তারা ভাবছে হাসিনাই তাদের এবং দেশের মুক্তির দিশারী। কোথাও কোন নেতা-কর্মী ক্ষমা চেয়েছে নজির নাই। উল্টো তারা আগের মতই এগ্রেসিভ মন্তব্য করে চলেছে। আগের মতই মিথ্যা আর গুজব ছড়িয়ে চলেছে।
একটা একটা সমস্যা আসে, তাদের নেতা-কর্মীরা ঠুস করে গর্ত থেকে বের হয়ে আন্দোলন আর ইউনুস সরকারকে গালিগালাজ করে যায়। তারা বুঝাতে চায় অভ্যুত্থান করে হাসিনাকে দেশছাড়া করে এই দেশের জনগণ প্রতারিত হয়েছে। অনুশোচনাবোধতো নাই, উল্টা দেশে কিংবা দেশের বাইরে বসে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে এই সরকার আর অভ্যুত্থানকে ব্যর্থ করার সবরকম চেষ্টা এখনো চলমান রেখেছে এই স্বৈরাচারের দোসররা। আবার বলছে তারাই এই দেশকে ভালবাসে। কি জঘন্য! কি জঘন্য এই আওয়ামীরা! এই দলটার রন্ধ্রে রন্ধ্রে ফ্যাসিজম।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই দোসরদের মধ্যে অন্যতম কিছু দোসরদের লেখা আমাদের নজরে পড়েছে।এরা ক্রমাগত দেশের বিরুদ্ধে লিখে যাচ্ছে। পক্ষ নিয়ে ফ্যাসিস্টদের। এদের মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্যনাম আমরা দেখতে পাচ্ছি মোহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন, মোহাম্মদ ফয়েজ হোসেন, এম ডি হাবিবুর রহমান সাব্বির, হৃদয় কৃষ্ণা যাদব, জাকির হোসাইন স্বপন সহ বেশ কিছু নাস্তিক ফ্যাশিস্টদের যারা প্রতিনিয়ত রাষ্ট্রকে নিয়ে মিথ্যে কথা লিখছে ও বলছে। এদেরকে কতল করা ছাড়া আর কি উপায় আছে? ক্রমাগত তারা যেন প্রোপাগান্ডার ভান্ডার খুলে বসেছে।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার এই দোসররা প্রত্যেকে একেকটা প্যাথলজিক্যাল ফ্যাসিস্ট । তিন তিনটা গণহত্যা চালিয়েছে ছাত্র-জনতার রোষে পড়ে দেশছাড়া হয়ে তারাই আবার বলছে তারা নাকি একদিন সব দেখে নিবে। একবারও তারা ভাবছেনা জনগন তাদেরকে এভাবে দেশছাড়া করল কেন? কি ভুল তারা করেছে? আবার দু:খজনকভাবে ফ্যাসিস্ট বিরোধী সব শক্তিই আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের পাতা ফাঁদে পা দিচ্ছি।
নিজেরা বিভক্ত হয়ে বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দেবার সব আয়োজন সম্পন্ন করতেছি। এখন বিভক্ত হবার সময় নয়। এখন এক থেকে স্বৈরাচারদের দাফন সম্পন্ন করার সময়। এখন বিপ্লবের ঐক্যকে আরো সমুন্নত করে বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার সময়। এখন সময় এমন এক রাজনৈতিক বন্দোবস্ত নিশ্চিত করার যার কেন্দ্রে থাকবে মানুষের নায্য অধিকার ও স্বাধীনতা।
সুতরাং, আসুন প্যাথলজিক্যাল ফ্যাসিস্ট আওয়মিলীগারদের দাফন সম্পন্ন করি। আসুন দিল্লীর দাসত্বকে চিরতরে কবর দেই। স্বৈরাচার পালিয়েছে মাত্র। বিপ্লব এখনো সম্পন্ন হয়নি। সব ধর্ম-বর্ণ, আপার ক্লাস থেকে লোয়ার ক্লাস, স্কুল গোয়িং কিডস থেকে শুরু করে রিক্সাওয়ালা, কর্পোরেট হাউজের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে গার্মেন্টস শ্রমিক, পাবলিক থেকে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্টরা- সবাই মিলেই বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম ভয়ংকর স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছি। ২৪ এর এই স্বাধীনতাকামী মজলুম জনতা একসাথে থেকেই বিপ্লব নিশ্চিত করবো।
ইনশাআল্লাহ। ইনকিলাব জিন্দাবাদ।