মোস্তফা ওয়াদুদ: সুখ-দুঃখ নিয়েই মানুষের জীবন । দুঃখের পরেই সুখ বিলিয়ে দেন মালিক। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘নিশ্চয় দুঃখের পরেই সুখ।’ (সুরা আলাম নাশরাহ, আয়াত:৫)।
তাই সুখ কিংবা দুখ। সর্বাবস্থায় মুমিন মুসলমান মহান আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করবে। আল্লাহ তায়ালার প্রতি নিজেকে সোপর্দ করবে। এটাই হওয়া উচিত প্রকৃত মোমিনের আচরণ। এছাড়া একজন মোমিন দুঃখের সময় ধৈর্যধারণ করবে। আর সুখের সময় নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করবে। মোমিনের রাগ দমন, ও আবেগ নিয়ন্ত্রণ অনেক সাওয়াবের কাজ। এটা মুমিন মুসলমানের জন্য জরুরিও বটে।
কুরআন সুন্নাহতে সর্বাবস্থায় নিজেকে নিয়ন্ত্রণের উপদেশ দেয়া হয়েছে। আবেগ নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মহান আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘এটা এ জন্য যে, তোমরা যা হারিয়েছ তাতে যেন তোমরা বিমর্ষ না হও এবং যা তিনি তোমাদের দিয়েছেন তার জন্য তোমরা আনন্দিত না হও। গর্বকারী ও অহংকার কারীদের আল্লাহ পছন্দ করেন না।’ (সুরা হাদিদ : আয়াত ২৩)
বরং সুখ ও দুখের সময় নিজেদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হাদিসে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা ও আশ্রয় চাওয়ার দোয়া শেখানো হয়েছে। তাহলো- اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَالُكَ الْعَدْلَ فِىْ الْغَضَبِ وَ الرِّضَا উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আদলা ফিল গাদাবি ওয়ার রিদা।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায়ই মধ্যমপন্থা কামনা করি।