وَ قٰتِلُوۡہُمۡ حَتّٰی لَا تَکُوۡنَ فِتۡنَۃٌ وَّ یَکُوۡنَ الدِّیۡنُ لِلّٰہِ ؕ فَاِنِ انۡتَہَوۡا فَلَا عُدۡوَانَ اِلَّا عَلَی الظّٰلِمِیۡنَ ﴿۱۹۳﴾
আর তোমরা তাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে থাক, যতক্ষণ না ফিতনা (অশান্তি, শিরক বা ধর্মদ্রোহিতা) দূর হয়ে আল্লাহর দ্বীন (ধর্ম) প্রতিষ্ঠিত না হয়, কিন্তু যদি তারা নিবৃত্ত হয়, তবে অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে ছাড়া (অন্য কারো বিরুদ্ধে) আক্রমণ করা চলবে না। [সূরা: বাক্বারা, আয়াত: ১৯৩]
আল্লাহর রাসুল বলেছেন, ‘যে নিজের দ্বীন পরিবর্তন করবে, তাকে হত্যা করে ফেলবে।’
(সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৯২২, জামে তিরমিযী, হাদীস ১৪৫৮, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৪৩৫১, মুসনাদে আহমদ, হাদীস ১৮৭১) ।
উপরে দেওয়া মহান আল্লাহর বাণী কোরআন শরীফের আয়াত এবং হাদিসটি থেকে এটাই প্রমাণিত হয় যে, কোন আল্লাহর বান্দা যদি ইসলাম ত্যাগ করে। আল্লাহ এবং তার প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে কুটূক্তি করে, ইসলামের দৃষ্টিতে নিঃসন্দেহে তাদেরকে হত্যা করার বিধান রয়েছে।
তবে অত্যান্ত দুঃখের বিষয় এই যে, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছে যে, ২০১৩-২০১৫ সালে বাংলাদেশে যেভাবে নাস্তিক-মুরতাদরা মুসলমানদের বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলা এবং আলাহ এবং রসূলুল্লাল্লাহ্ কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছে, ঠিক সেভাবে আবারো নাস্তিক-মুরতাদদের উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের মতো একটি মুসলিম রাষ্ট্রে হেফাজতে ইসলামের একটি কর্মীও বেঁচে থাকতে এমনটি কখনো হতে দেবে না। আমরা এইসব কুলাঙ্গার নাস্তিকদের জানিয়ে রাখতে চাই যে, ‘যদি তোমাদের বাক-স্বাধীনতা যদি আমাদের প্রাণের রাসুলের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে ব্যবহার হয় তবে, জেনে রাখো আমাদের চাপাতিও সেই একই স্বাধীনতা নিয়ে বিভিন্ন ঘাড়ে গিয়ে পড়বে’
প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনাদের সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, কতিপয় নাস্তিকরা এথিস্ট ইন বাংলাদেশ নামক একটি ওয়েবসাইট চালাচ্ছে এবং মেগাজিনও প্রকাশ করছে। সেখানে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এমনকি সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্কে নিয়েও অনেক কুরুচীপুর্নি মন্তব্য করেছেন (নাউজুবিল্লাহ)।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আজ সেই ওয়েবসাইটের কিছু নাস্তিকের নাম প্রকাশ করছে। আমাদের হেফাজতের কর্মী থেকে শুরু করে ধর্মপ্রাণ সকল মুসলিমদের অনুরোধ করা যাচ্ছে যে, এদেরকে যেখানে পাওয়া যাবে আল্লাহ এবং তার প্রিয় নবী রাসূলকে ভালোবেসে নির্দ্বিধায় সেখানেই কতল করতে হবে। সেই সব নাস্তিকগুলো হলো:- ০১) কাজী ওয়াহিদুজ্জামান, ০২) এমডি মাহাদি হাসান, ০৩) কে এম মাহফুজুর রহমান, ০৪) এমডি আমিনুল হক, ০৫) আরমান আহমেদ, ০৬) সৈয়দ সানভী অনিক হোসেন, ০৭) জোবায়ের হোসেন, ০৮) জিয়াউল হক, ০৯) তানজিলা তাজ রিসা, ১০) সুজন চন্দ্র দেব, ১১) সৈয়দ ইশতিয়াক হোসেন শাওন, ১২) এম ডি উমায়েদ হোসেন, ১৩) এম ডি জিল্লুর রহমান, ১৪) জাওয়াদ হোসেন নির্ঝর এবং ১৫) সাইফুল ইসলাম ১৬) শ্রাবণী শিকদার ১৭) বিপ্লব পাল
মনে রাখবেন, যারা রাসুলের অবমাননা করে তাদের বিরুদ্ধে সামর্থ অনুযায়ী প্রতিবাদ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। একজন মুসলিম কখনও এমন হতে পারে না যে, সে মহানবীর অবমাননা হওয়ার কথা জানার পরও নিশ্চুপ বসে থাকবে। কেননা এটি একটি মহা অন্যায় কাজ। আর ঈমানের লক্ষণ হলো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।
এই নাস্তিকদের শাস্তি দিতে হলে এখন অবশ্যই আমাদেরকে তাদের সকলের আসল পরিচয় খুঁজে বের করতে হবে। এবং বিগত দিনেও আমাদের দ্বীনি ভাইয়েরা নাস্তিক মুরতাদদের যেই শাস্তি দিয়েছে, এবারো তাই করবে। আশা করি আল্লাহ রহমতে খুব শীঘ্রই আমরা সেটি করতে পারবো এবং আল্লাহ এবং রাসূলের এই শত্রুদের এই পৃথিবী থেকে বিদায় করতে সমর্থ হবো, ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা মঈন উদ্দিন রুহী।
যুগ্ম মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
২১ জ্বিলহজ্জ, ১৪৪০ হিজরী।
২২ আগস্ট, ২০১৯ ঈসায়ী।